ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ যে কোন উৎসবই সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা দেয়। শুক্রবার দেখা গেল দুই ভিন্ন ধর্মের দুটি উৎসব একই দিনে পড়েছে। বসন্ত উৎসব এবং শবে বরাত। বাংলার নিজস্ব যেকটি উৎসব রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল দোল পূর্ণিমা,যা বসন্ত উৎসব নামেই সারা বাংলায় উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গেই পালিত হয়। মহামারী করোনার জন্য বিগত বছরে সেভাবে পালিত না হলেও এবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে বাংলাতেও উৎসাহের সঙ্গেই নানা সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হল বসন্ত উৎসব। প্রতি বছর বাঙালীরা এই দিনটিতে রঙ খেলায় আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। দোলযাত্রা যেন বসন্তের আহ্বান। এই উৎসবটি জানিয়ে দেয় শীত বিদায় নিয়েছে, এসেছে বসন্তের ছোঁয়া। এই দিনটিতে বাঙালিরা একে অপরকে রঙে রাঙিয়ে দেয়। এই দিনে বাতাসে যেন একটাই সুর বয়ে চলে “রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যাবার আগে”। এই বসন্ত উৎসবকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি যেন এক বর্ণিল সাজে সেজে ওঠে। দোল পূর্ণিমা ভিন্ন ভিন্ন নামে অভিহিত। কোথাও এই দোল পূর্ণিমাকে দোল যাত্রা বলে। আবার ফাল্গুনী পূর্ণিমাকেও দোল পূর্ণিমা বলা হয়ে থাকে। এনিয়ে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী থাকলেও বর্তমানে সব ধর্মের মানুষ এই দোল উৎসবে সামিল হয়ে এক সম্প্রীতির বাতাবরন তৈরী করে। বিভিন্ন জেলার সঙ্গে শহর দুর্গাপুরের নানা প্রান্তেও একাধিক ক্লাব,সংগঠন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বসন্ত উৎসবে সামিল হয়েছে। অন্যদিকে এই একই দিনে পালিত হচ্ছে মুসলিম ধর্মের অন্যতম উৎসব শবে বরাত। মুসলিমদের কাছে এই রাত খুবই পবিত্র। মহিমান্বিত এই রাতকে সৌভাগ্যের রাত বা মুক্তির রাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই রাতের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে পরবর্তী বছরের চাওয়া পাওয়া,আশা আকাঙ্খা,প্রার্থনা এই রাতেই ঠিক করা হয়। এ রাতে মুমিন তথা একনিষ্ঠ ভক্তদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। তাই সমগ্র মুসলিম ধর্মের মানুষদের কাছে শবে বরাত এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছে।