ডেটলাইন ওয়েব ডেস্কঃ দুর্গাপুরে এখনও তিনি কোন সভা করেননি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার তিনি শহরে এলেন। আগের রবিবারের পর ফের এই রবিবার। দুর্গাপুরকে হল্ট শ্টেশন করেই তিনি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে নির্বাচনী প্রচার করছেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন ২৭ মার্চ পর্যন্ত এখানে থেকেই জেলার একাধিক বিধানসভা এলাকায় প্রচার সভায় যাবেন দিদি। ইতিমধ্যেই গান্ধী মোড়ের অস্থায়ী হেলিপ্যাডটি এবার বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগের রবিবার এখান থেকে তিনি পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় জনসভা করেছিলেন। এবারও বাঁকুড়ায় তিনি একাধিক সভায় অংশ নেন। রবিবারই বাঁকুড়ায় জনসভা করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বাঁকুড়া জেলাতেই এদিন তিন জায়গায় নির্বাচনী জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার কোতুলপুর, ইন্দাস ও বড়জোড়ায় তিনটি জনসভা থেকেই তিনি তীব্রভাবে বিজেপির সমালোচনা করেন। কোতুলপুরের জনসভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, ‘কোনও প্ররোচণায় পা দেবেন না। বিজেপি দাঙ্গা করার চেষ্টা করবে। আপনারা ভোট দিলেই আমি সরকার তৈরি করতে পারব। বিজেপি সরকার তৈরি করলে আপনাদের মেরে দূর করে দেবে। ওরা বহিরাগত। তাদের বিরুদ্ধে জোট বাঁধুন।’ এদিন ইভিএম মেশিন নিয়েও তিনি দলের বুথকর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, তিরিশটা করে ভোট গোনার পর একবার করে ভোটের মেশিন অন–অফ করবেন। ভোটের মেশিন খারাপ হলেও ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন ।’ নিজের পায়ে চোট নিয়ে তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ওরা ভেবেছিল আমি পায়ে চোট পেলে আর বাইরে আসব না। আমার নিঃশ্বাস যতক্ষণ চলবে, ততক্ষণ এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। মা বোনেদের জীবন বাঁচানোর জন্যই এই লড়াই। আমি ভাঙি তবু মচকাই না। আমি বাইরে থাকলে এক পা দিয়ে এমন শট মারব, মাঠের বাইরে করে দেবো।’ সভায় বাঁকুড়ার উন্নয়ন নিয়ে মমতা বলেন, ‘আগে রাস্তার কী অবস্থা ছিল, কোনও কাজ হত না। এখন ১২১৮ কোটি টাকা দিয়ে বাঁকুড়াতে বৃহৎ জল সরবরাহ প্রকল্প। বাঁকুড়াতে ৫৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে জল প্রকল্পের ব্যবস্থা। জয়রামবাটি–কামারপুকুরের রাস্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তা হবে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের যোগাযোগে। হাঁসপালন, মুরগি পালন করুন, স্বনির্ভর দল তৈরি হবে, ঋণ দেওয়া হবে ব্যাঙ্ক থেকে। বাঁকুড়া তীর্থভূমি। পরীক্ষার ফল বেরোলেই দেখা যায়, এখানকার পড়ুয়ারা ভাল ফল করেছে। এখানে তাই বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আছে।’ পেট্রল ডিজেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতা। দলত্যাগীদেরও এদিন মমতা ছাড়েননি। বলেছেন, ‘আমাদের গদ্দাররা, যারা বিজেপি–র ওস্তাদ হয়েছে, তাঁরা কী অত্যাচার করত, মনে রাখবেন।’ ইন্দাসের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘বিজেপি কেউটে সাপ। যেখানে ঢুকবে ছোবল মারবে। এবার খেলা হবে। বিজেপিকে খালি করা হবে।’