ডেটলাইন ওয়েব ডেস্কঃ ভারতবর্ষ হল সর্বধর্ম সমন্বয়ের এক আদর্শ উদাহরন। তাই সারা বছরই এদেশে কোন না কোন ধর্মের বিশেষ উৎসব পালন করা হয়। যেমন এদিন দেশজুড়ে প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গেই পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথির রোহিণী নক্ষত্রে বাসুদেব-দেবকীর কোলে কংসের কারাগারে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীকৃষ্ণ।
অষ্টমী তিথিতে দেবকীর অষ্টম গর্ভে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলেএই জন্মতিথির নাম জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণ কংসের কারাগারে যখন আবির্ভূত হয়েছিলেন তখন তার মামা রাজা কংসের অত্যাচারে সবাই অতিষ্ঠ ছিল। তাই শ্রীকৃষ্ণের জন্মক্ষণে কোনো আনন্দ ও মাঙ্গলিক কাজ হয়নি! চারদিকে ছিল ভয়, আশঙ্কা- তাকে হত্যা করে ফেলার যড়যন্ত্র। পৃথিবীকে পাপাভার, আশঙ্কা ও ত্রাসমুক্ত করার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব।
জন্মের পর কীভাবে তাকে রক্ষা করতে হবে সে কথা বাসুদেবকে বলে দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তার কথামতো বাসুদেব সূতিকাগার থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। গোকুলে নন্দ এবং যশোদার সন্তানরূপে যিনি জন্মগ্রহণ করেন তিনি ভগবানের অন্তরঙ্গ শক্তি যোগমায়া। যোগমায়ার প্রভাবে কংসের প্রাসাদে প্রহরীরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কারাগারের দরজা আপনা থেকেই খুলে যায়। সে রাত ছিল ঘোর অন্ধকার।
কিন্তু যখন বাসুদেব তার শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে বাইরে আসেন তখন সবকিছু দিনের আলোর মতো দেখতে পান। আর ঠিক সেই সময় গভীর বজ্রনিনাদের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের কাহিনী নিয়ে বহু জায়গায় আজ আলোচনা ও ধর্মীয় কর্মসূচীও নেওয়া হয়েছে।