ডেটলাইন বর্ধমানঃ এ যেন রোমহর্ষক হলিউডি কোনো সিনেমার খল নায়ক। লাল বাইক লাল হেলমেট পরে খুনকরতে বের হতো সে। তার লক্ষ্যই হল মহিলারা। প্রথমে আলাপ তারপর প্রেম এবং শেষে চেন দিয়ে গলা পেঁচিয়েমহিলাদের খুন৷ তারপর সেই দেহের সঙ্গে যৌন মিলন৷চেন দিয়ে খুন করত বলে তাকে চেনম্যান বলেও ডাকা হয়। এই ছিল কালনার সিরিয়াল কিলার কামারুজ্জামান সরকারের হামলার পদ্ধতি। কালনায় পর পর ৬মহিলাকে খুন করেছে সে এভাবেই। অবশেষে পুলিশ সেই সিরিয়াল কিলার কামারুজ্জামান সরকারকে গ্রেপ্তারকরা হয়েছে। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, মুর্শিদাবাদ থেকে এসে কালনায় থাকতে শুরু করেছিলসে। পেশা বলতে ছিল ভাঙের ব্যবসা। ধৃত মোটরবাইকপছন্দ করত। তবে মহিলাদের বেছে বেছে কেন খুন? পুলিশের দাবি, মহিলাদের ওপর কোনও সুপ্ত ঘৃণারজেরেই একের পর এক খুন করে গিয়েছিলকামরুজ্জামান
প্রতিটি খুনই সে গলায় সোনার চেনেরফাঁস দিয়ে ঘটিয়েছে। আর খুনের পর মহিলাদেরমূল্যবান কিছু জিনিস লুঠ করে পালাত কামরুজ্জামান।অভিযোগ, খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কেজড়াত অভিযুক্ত। এটাকে মানসিক রোগ বলে মনে করাহচ্ছে। সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাকামরুজ্জামান, পূর্ব বর্ধমানের সমুদ্রগড়ে এসে বসবাসশুরু করে। তার সেখানের বাড়িতে স্ত্রী , দুই ছেলে এবংএক মেয়েকে নিয়ে সংসার ছিল। কীভাবে সে এমন হয়ে উঠল তা এক রহস্য। গত রবিবার রাতে নাকা চেকিংয়েরসময়ই ধরা পড়ে যায় কামরুজ্জামান সরকার। জানা গেছে, তার সঙ্গে থাকতো একটি নাইলনের ব্যাগ। ওই ব্যাগে থাকতো সাইকেলের চেন ও রড। অপরাধ করার সময় সে মাথায় হেলমেট পড়ে যেত। পুলিশ ধৃতের কাছ থেকে প্রচুর গহনা উদ্ধার করেছে। তবে প্রায় সবটাই ইমিটেশনের। অল্প কিছু গহনা সোনা ও রূপোর। তার কাছ থেকে পুলিশ তিনটি মোবাইলও উদ্ধার করে। এদিন তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।