ডেটলাইন কলকাতাঃ এখন দেখা যাচ্ছে ঘূর্ণীঝড় ফণীর থেকেও বেশী উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে ক্রমবর্ধমান দাবদাহ। আবহাওয়া দফতরও বলে দিয়েছে এখন বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা তো নেই বরং আরও কয়েকদিন ধরে এই দুঃসহ গরম চলবে। তার জন্য আলিপুর আবহাওয়া দফতর তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তাও জারি করেছে। বলা হয়েছে আগামী দুদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকবে। তার জন্য অস্বস্তিও বাড়বে। আসলে ফণীর প্রভাবে হঠাৎই তাপমাত্রা অনেকটা কমে গিয়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু সেই মেঘলা আবহাওয়া কাটতেই রীতিমতো গরমে পুড়তে আরম্ভ করেছে গোটা বাংলা। দুপুরের দিকে আসানসোল ও দুর্গাপুরের তাপমাত্রা ৪২ডিগ্রিতে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। এই পরিস্থিতিতে বাইরে বের হওয়া প্রচন্ড বিপদজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অনেকেই বাধ্য হয়ে বের হচ্ছেন মুখে কাপড় বেঁধে। দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
জেলাগুলি হল— পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ। অন্যদিকে, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও নদীয়া জেলাতে আগামী দু’দিন অস্বস্তিকর গরম চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, আগামী রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়া শুরু হতে পারে। তবে এর মানে এই নয় যে রবিবারই ঝড়-বৃষ্টি হবে। ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার জন্য যে জলীয় বাষ্প প্রয়োজন, সেটা দখিনা বাতাসের কল্যাণেবঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঢুকছে। এখন দরকার হল কোনও নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত বা নিদেনপক্ষে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হওয়া। দক্ষিণবঙ্গ সংলগ্নঝাড়খণ্ডের উপর নিম্নচাপ তৈরি হলে জোরালো কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখন অবশ্য কোন আশা দেখা যাচ্ছে না। অতএব ‘আল্লা মেঘ দে পানি দে’ বলে আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় কি।