পিন্দারে পলাশের বন-দুর্গাপুরের শান্তিনিকেতন

0
1121

ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ ‘পিন্দারে পলাশের বন….পলাবো পলাবো মন’..। বীরভূমের বেটি সারেগামার পৌশালী ব্যানার্জীর দৌলতে বাংলার পুরোনো এই লোকসঙ্গীত আবার যেন নতুন করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই গানটা চলবে আর কেউ নাচবে না তাই কখনো হয়? বিশেষ করে খেলবো হোলির উৎসবে? গতকাল ইস্পাতনগরীর কুমারমঙ্গলম পার্কে বসন্ত উৎসবে দেখা গেল শহরের মাঝে যেন এক টুকরো শান্তিনিকেতন। কেউ কাউকে চিনুক আর না চিনুক আজ যে বসন্ত। তাই উৎসবে অংশ নিতে রঙিন হয়ে সেজে আসা একঝাঁক মহিলা ও পুরুষ হাত ধরাধরি করে যে নাচ নাচলেন তা একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত।

ছোট বড় ছেলেমেয়ে সবার শরীরই তখন এক সুর এক ছন্দে হেলতে দুলতে ব্যস্ত। আর যারা সরাসরি নাচল না তারাও নৃত্যবৃত্তের বাইরে থেকেই তাল ঠুকতে থাকল। প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে এমনই সুর ও ছন্দে নিজেদের আটকে রাখলেন আট থেকে আশি দুশোর বেশি বসন্তপ্রেমী। প্রাক্তন ইস্পাতকর্মী এবং শহরের বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাহিত্য ব্যক্তিত্ব রণজিৎ গুহ ও তাঁর স্ত্রী মধুমিতা গুহের আন্তরিক উদ্যোগে এবং আরও কয়েকজন সংস্কৃতিমনা মানুষের সহযোগিতায় বিগত ২০ বছর ধরে ইস্পাতনগরীর কুমারমঙ্গলম পার্কে বসন্ত উৎসবের আয়োজন হয়ে আসছে। প্রতি বছরই এর জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে অংশগ্রহনকারীর সংখ্যাও। শুধু নিমন্ত্রিতরাই নয়,প্রতিবারই একাধিক বিশিষ্টজনরাও একবার ঘুরে যান দুর্গাপুরের এই একটুকরো শান্তিনিকেতনে।

যেমন এবার দেখা গেল বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে সপরিবারে হাজির হতে। তাঁর স্ত্রী রুমা পাড়িয়াল পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য। তাদের মেয়েকে নিয়ে দুজনেই বেশ কিছুক্ষন বসন্তউৎসবে মেতে ছিলেন এখানে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে আবির খেলা,গানবাজনা ও নৃত্যের সঙ্গেই থাকে সকাল দুপুর খাওয়ার ব্যবস্থাও। সেই সঙ্গে প্রতি বছর বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট সাহিত্যিককে এখানে পুরস্কারও প্রদান করা হয়। সব মিলিয়ে আপনি শান্তিনিকেতনে যেতে না পারলে কুমারমঙ্গলম পার্কের বসন্ত উৎসবে এলে কিন্তু আনন্দ কম পাবেন না,বরং একটু বেশিই মিলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here