মোদির ভাষনকে তীব্র কটাক্ষ মমতার

0
849

ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ অবশেষে দুর্গাপুরে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সভা ঘিরে বিগত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নানা টালবাহানা চলছিল। দুর্গাপুরের রাজীব গান্ধী ময়দান এই সভার জন্য বিজেপি নেতৃত্বের পছন্দ হলেও সেটা পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত সেইলের নেহেরু স্টেডিয়ামকেই বেছে নেওয়া হয়।

আজ দুপুরে কলকাতার ঠাকুরনগরে সভা শেষ করে দুর্গাপুরের নেহেরু স্টেডিয়ামের জনসভায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। স্টেডিয়ামের ভিড় দেখে আপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এবার তৃণমূলের বিদায় হবেই। এত ভিড় দেখে আমি নিশ্চিত, বাংলায় পরিবর্তন আসবেই।’ ঠাকুরনগরে মতুয়াদের সভায় বিশৃঙ্খলতার জন্য দুর্গাপুরের সভা থেকে দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমা চেয়ে আহতদের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেন।  এদিনের সভায় মোদির বক্তব্য জুড়েই ছিল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বার্তা। বাজেট থেকে আয়ুষ্মান,কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের প্রসঙ্গে তিনি রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগ যেমন তোলেন,তেমনই কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক,মজুর ও সাধারন মানুষের স্বার্থে যে উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সেসব তুলে ধরেন।

মোদি বলেন,রিয়েল এস্টেটদের জন্য কেন্দ্র আইন বানিয়েছে, কিন্তু এই সরকার তা লাগু হতে দিচ্ছে না। তিনি কংগ্রেসের নাম না করে বলেন,রাজনৈতিকভাবে দেশের সবচেয়ে নামজাদা পরিবারও দুর্নীতিতে আজ আদালতের চক্কর কাটছে। কংগ্রেস যখন ঋণ মাপ করে তখন কৃষকদের  কম আর একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির বেশি লাভ হয় । আমরা প্রতিবছর টাকা দিচ্ছি আর ওরা দশ বছরে দিত। কোনটায় বেশি লাভ। আগামী  দশ বছরে কৃষকরা সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা পাবে। আমরা কংগ্রেসের মতো বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিই না। এই যোজনায় এক বছরে ৭৫,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। কৃষকদের জন্য এত বড় যোজনা এর আগে হয়নি । বিগত সরকারের মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশ ছিল এখন সেটা ৪ শতাংশ। কালো টাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,বড় বড় লোকজনদের কালো টাকার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি। মোদি অভিযোগ করেন,এখানকার সবাইকে  ‘ট্রিপল টি’ অর্থাৎ তৃণমূলের তোলাবাজির ট্যাক্স দিতে হয়। অন্যদিকে,মোদির ভাষনের পাল্টা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরনগর ও দুর্গাপুরে যে ভাষন দিয়েছেন তাতে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন  মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ,মোদি দেখে দেখে ভাষণ পড়েন। নিজের থেকে কোনও বক্তব্য দিতে পারেন না। ঠাকুরনগরের সভা থেকে মোদি যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে তৃণমূলের সমর্থন চেয়েছেন, তার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন,কেন সমর্থন করব? ওরা এনআরসি করে আসাম থেকে বহু বাঙালিকে বের করে দিতে চাইছে। নানা জায়গায় এভাবে অন্যান্য ধর্মের মানুষজনকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাঁর সাফ কথা, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সমর্থন চাইলে, এনআরসি প্রত্যাহার করা উচিত।’ মোদির ভাষনের রেশ টেনে মমতা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মোদির উদ্দেশ্যে বলেছেন,বাংলাকে নিয়ে ভাবতে হবে না। এবার দিল্লি থেকে এই সরকার বিদায় নেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here