ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থাকায় নিজের স্ত্রীকে খুন করেছিল স্বামী। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় স্বামীকে। তারপর কেটে গেছে তিন বছর। অবশেষে দুর্গাপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত রামকৃষ্ণ বাউরী। তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসে দন্ডিত করা হয়। সঙ্গে ২০০০ টাকা জরিমানা , অনাদায়ে এক বছরের কারাবাস।
অন্ডাল থানার ছোড়া এলাকার তালপুকুরে পরপুরুষের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহে ২০১৩ সালে নিজের স্ত্রী রূপা বাউরিকে টাঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল রামকৃষ্ণ বাউরি। রূপাকে বাঁচাতে আহত হয়েছিল দুই বোন লতা ও লক্ষী বাউরি। এরপর এক বছর ফেরার ছিল রামকৃষ্ণ। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৫ সালে দুর্গাপুর আদালতে মামলা শুরু হয়। প্রায় তিন বছর পর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত রামকৃষ্ণ বাউরী। অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারপতি অলোক কুমার চৌধুরী অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসে দন্ডিত করেন।
উল্লেখ্য,ঘটনার দিন বিকেলে গ্রামের পুকুরে দুই বোনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল রূপা বাউরি। সেই সময় ঝোপের আড়ালে ধারালো টাঙ্গি নিয়ে ওৎ পেতে ছিল স্বামী রামকৃষ্ণ। স্ত্রী কাছে আসতেই তার ওপর হামলা চালায় সে। টাঙ্গির কোপে গলা আলাদা হয়ে যায় রূপার। বাঁচাতে গিয়ে আহত হন লক্ষী ও লতা। গত তিনবছরে মোট ৭ জন সাক্ষী দিয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী মৃতার দুই বোন লতা ও লক্ষীর সাক্ষ্যের কারনেই এই শাস্তি বলে জানালেন সরকারী আইনজীবি মহম্মদ ইমরান। ৩০২ ও ৩২৪ আইপিসি ধারায় অভিযুক্তের সাজা হয়েছে বলে জানান তিনি। আসামী রামকৃষ্ণ বাউরী আদপে জামুরিয়ার বাসিন্দা। অন্ডালের ছোড়ায় শ্বশুরবাড়ী। তাদের একটি ছয় বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। নিজের বয়স কম এবং ছয় বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে বলে বিচারকের সহানুভুতি আদায় করার চেষ্টা করলেও সে আবেদন মঞ্জুর করেননি বিচারক।