ডেটলাইন ওয়েব ডেস্কঃ শুধু নকল তেল-সাবানই নয়, আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় নানা জিনিস তৈরির ক্ষেত্রেও ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ব্যবহার বাড়ছে বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি জেলায় বহু জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা রেস্তরাঁগুলিতেও পরিবেশন করা হচ্ছে পচা ও ছত্রাক মিশ্রিত খাবার। এমনই অভিযোগ আসছে ইবি তথা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কাছে। এবার তাই রাজ্যজুড়ে ভেজালের কারবারের রমরমা রুখতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)। ক্রমাগত এই বেআইনি কারবার নিয়ন্ত্রনে এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে এবার দুর্গাপুর ও শিলিগুড়িতে আলাদা ইউনিট চায় রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)।
কারন হিসেবে ইবি অফিসাররা জানিয়েছেন, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নকল কারবারের রমরমা। পিছিয়ে নেই উত্তরবঙ্গও। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলাতেও এই ধরনের কারবারের হদিশ মিলেছে। কিন্তু, কর্মী সংখ্যার অপ্রতুলতা, অন্যদিকে আলাদা ইউনিট না থাকায় সেই হারে তল্লাশি চালানো যাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে সদর দফতরে খবর পৌঁছাতেও অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। এখান থেকে অফিসাররা যাওয়ার আগেই ভেজাল কারবারিরা অনায়াসে জায়গা বদলে ফেলছেন। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অফিসারদের। এই অবস্থায় ইবি কর্তারা চান দুর্গাপুরে ও শিলিগুড়িতে পৃথক ইউনিট গড়ে তুলতে। যার দায়িত্বে থাকবেন এসপি পদমর্যাদার একজন করে অফিসার। দুর্গাপুর ইউনিটের অধীনে থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো জেলা। আর শিলিগুড়ি ইউনিট গোটা উত্তরবঙ্গ দেখভাল করবে। সদর দফতরের সঙ্গে এই ইউনিটগুলি যোগাযোগ রেখে কাজ করবে। ভেজাল ব্যবসা ধরার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই জেলাগুলিতে পুলিশ কর্মীর অভাব। ভেজাল কারবার ধরার জন্য যথেষ্ট পুলিশকর্মী নেই জেলাগুলিতে। তাই খোঁজখবর পেতে ও জায়গায় জায়গায় হানা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে ইবি অফিসারদের। দুর্গাপুরে আলাদা ইউনিট সক্রিয় হলে এই চরম ক্ষতিকারক ভেজাল ব্যবসা অনেকটাই নিয়ন্ত্রন করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।