তামলায় উদ্ধার বস্তাবন্দি গৃহবধূ কি তন্ত্র সাধনার শিকার?

0
796

ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ গত ২রা সেপ্টেম্বর সকালে দুর্গাপুরের তামলা নদীতে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি অজ্ঞাত পরিচয় গৃহবধূ কি তন্ত্র সাধনার বলি? ঘটনা কিন্তু সেরকমই ইঙ্গিত করছে। জানা গেছে,বস্তার ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া গৃহবধূর নাম সোনিয়া মিদ্দা। বছর ২৫ এর এই মহিলার বাপের বাড়ি ঝাড়খন্ডের দুমকায়। দুর্গাপুরের বেনাচিতির মহিস্কাপুরের বাসিন্দা রাজেশ মিদ্দার সঙ্গে বছর দুই আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিবেশীরা তাকে দেখতে না পেয়ে সোনিয়ার শ্বশুর মলিন্দ্য মিদ্যা ও শাশুড়ি কুন্তী মিদ্যাকে জিঙ্গাসা করলে তারা জানায় সে বাপের বাড়ি গেছে। কিন্তু এরপর সোনিয়ার বাপের বাড়ির লোকজন তাঁর খোঁজ করতে এলে শ্বশুরবাড়ির তরফে কোন সঠিক উত্তর দিতে না পারায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তার আগেই মেয়ের নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি ডায়েরি করেছিল সোনিয়ার বাপের বাড়ির তরফে। তারা মিদ্দা পরিবারকে চেপে ধরলে শেষ পর্যন্ত মলিন্দ মিদ্দা স্বীকার করে যে সোনিয়াকে তারা মেরে তামলায় ফেলে আসে। এরপরেই প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাচিতির মহিষ্কাপুর প্লট থেকে মৃতার শ্বশুর মলিন্দ মিদ্যা ও শাশুড়ি কুন্তীদেবীকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায়।এরমধ্যেই সোনিয়ার স্বামী রাজেশ গা ঢাকা দিয়েছে। প্রতিবেশীদের কাছে জানা গেছে রাজেশর সঙ্গে  বিয়ের পর থেকেই তাকে নির্যাতন করা হতো। সেকথা সোনিয়া একাধিকবার তাদের কাছে অভিযোগ করেছিল। তার শ্বশুর মলিন্দ বাড়িতে নিয়মিত করে তন্ত্র সাধনা করেন। তাদের ধারনা সেই তন্ত্র সাধনার কারনেই পুত্রবধু সোনিয়াকে বলি দিয়েছে শ্বশুর – শাশুড়ি। এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে শহরে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here