কোথাও সর্বনাশ কোথাও পৌষমাস

0
796

ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ বাংলায় বহুল প্রচলিত একটি কথা চালু আছে। সেটা হল কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষমাস। বাংলার সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর ঠিক আগে তিতলি নামে প্রবল ঘুর্ণীঝড় প্রসঙ্গেও সেই কথাটা ব্যবহার করা যেতেই পারে। তিতলির ভয়ে একদিকে যখন আতঙ্ক সঞ্চার হয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গে তখন অন্যদিকে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ চাষী রীতিমতো আশার আলো দেখতে পেয়ে খুশি হয়েছেন। কারন এবার বর্ষাকালে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার খেয়েছে অন্যান্য কিছু চাষও। ধানের ফলন এলেও শেষ পর্যন্ত লাভের কড়ি ঘরে আসবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় কৃষিজীবী পরিবারগুলি। কম বেশি একই অবস্থা দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় সব জেলায়।  বিশেষ করে যেসব জায়গায় সেচের তেমন সুবিধা নেই সেখানকার চাষীরাই জলের অভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে,৪৭ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে এবার ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানচাষ হয়েছে। তারমধ্যে সেচের সুবিধাযুক্ত জমির পরিমান মাত্র সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর। অতএব জেলার বেশিরভাগ চাষজমিতেই জলের অভাব রয়েছে। কিন্তু তিতলির সৌজন্যে কিছুটা হলেও তারা আশার আলো দেখেছেন। কারন আশ্বিন মাসে মাঠে মাঠে ধানের শীষ দেখা দিয়েছে। কিন্তু ঠিকমতো জল না পেলে তো অঘ্রানে সেই ধান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই আশঙ্কাতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার চাষিদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। সেখানে তিতলির নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি হলে জেলায় জেলায় ধানসহ অন্যান্য চাষের ক্ষেত্রে ভালো হবে। এমনটাই আশা করছেন জেলার চাষীরা। এমনিতেই আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান জানিয়েছে এবার বর্ষায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ঘাটতি ছিল। অতএব উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশে তিতলি ঘুর্ণীঝড় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করলেও তার জেরে নিম্নচাপের বৃষ্টি এরাজ্যের চাষীদের কাছে অনেকটাই আশীর্বাদের মতো মনে হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here