১৫ সেপ্টেম্বর কেন জাতীয় ইঞ্জিনিয়ার দিবস পালন করা হয় ভারতে

0
697

ডেটলাইন ওয়েব ডেস্কঃ প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর দিনটি আমাদের দেশে জাতীয় ইঞ্জিনিয়ার দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আসলে এই দিনটি হল ভারতের এক বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার মোক্ষগুণদম বিশ্বেশ্বরায়ার জন্মদিন। ‘ভারত রত্ন’ প্রাপ্ত এই বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার ‘ফাদার অফ মডার্ন মাইসোর’ নামে পরিচিত ছিলেন। স্যার এম ভি নামেই তাঁকে সম্মান করা হয়। এই বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ারকে সম্মান জানানোর জন্যই ভারতে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখটি জাতীয় ইঞ্জিনিয়ার দিবস হিসাবে পালন করা হয়। শিক্ষাবিদ,অর্থনীতিবিদ এবং বিখ্যাত এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান আছে। স্যার এমভি ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তার বিভিন্ন উদ্ভাবনী ডিজাইন আবিষ্কারের জন্য তিনি সারা বিশ্বে সমাদৃত। অনেকেই তাঁকে ইঞ্জিয়ারিং-এর জনক নামেও অভিহিত করেন। স্যার এমভির অন্যতম উল্লেখযোগ্য কীর্তি হল কৃষ্ণ রাজা সাগর লেক অ্যান্ড ড্যাম তৈরী করা। ১৯২৪ সালে তিনি এই ব্রিজের ডিজাইন তৈরী করেন,যা সেই সময়ে ভারতের বৃহত্তম জলাধার ছিল। এই বাঁধ থেকে দেশের বহু শহরে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। ১৮৯৯ সালে হায়দরাবাদের ‘ডেকান ক্যানাল’, ১৯০৩ সালে পুণের ‘খড়কওয়াসলা রিজার্ভার’ তিনি তৈরি করেন। পুণের এই রিজার্ভার তৈরি করার জন্য তিনি ‘ভারত রত্ন’ সম্মানে ভূষিত হন। ১৯১৭ সালে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইন বেঙ্গালুরু স্থাপন করেন,পরবর্তীকালে যার নাম হয় ‘ইউনিভার্সিটি বিশ্বেশ্বরায়া কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়’। স্যার এমভি বৃটিশ ভারতের মহীশূর রাজ্যের বর্তমানে কর্নাটক রাজ্যের চিক্কাবল্লপুর জেলার মুদ্দেনাহাল্লিতে এক তেলুগু ব্রাহ্মণ পরিবারে ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোক্ষগুন্ডম শ্রীনিবাসা ছিলেন প্রাচীন সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত ও মাতা বিজয়ালক্ষ্মী আম্মা। তার পৈতৃক বাড়ি ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের মোক্ষগুন্ডম গ্রামে। ছোটবেলায় তার পিতার মৃত্যু হয়। বহু কষ্টে নিজের চেষ্টায় তিনি রাস্তার আলোয় বসে পড়াশোনা করেছেন। ৬০ কিলোমিটারের পথ পায়ে হেঁটে ব্যাঙ্গালোরের ইউনাইটেড মিশনারি স্কুলে যেতেন। শহরের বিভিন্ন মন্দিরের প্রসাদ খেয়েই দিন কাটাতেন। স্কুলের পাঠ শেষে ভর্তি হন মহারাষ্ট্রের পুনেতে অবস্থিত বর্তমানে সাবিত্রীবাই ফুলেপুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এশিয়ার তৃতীয় প্রাচীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। প্রথম স্থান অধিকার করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন তেইশ বৎসর বয়সে। তারপর থেকেই তিনি তাঁর কর্ম জীবনের প্রতিটি ধাপে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে ক্রমশ নিজের প্রতিভা প্রকাশ করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here