শুধু হাসিতেও অনেক রোগ সেরে ওঠে

0
1411

ডেটলাইন ডেস্কঃ  ১৯৯৯ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে  হাসি দিবস। প্রতি বছর মে মাসের প্রথম রবিবার পালিত হয় বিশ্ব হাস্য দিবস। বিশ্ব হাসি দিবস পালিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। মুম্বইয়ের চিকিৎসক ডাক্তার মদন কাটরা বিশ্ব জুড়ে হাসির ব্যায়ামের প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে ১০৫ টিরও বেশি দেশে অসংখ্য হাসির ক্লাব আছে। আমাদের রাজ্যেও এই ধরনের বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারেও রয়েছে  নীরোগ হেলথ ক্লাব। তাদের পরিচালনায় স্থানীয় চতুরঙ্গ ময়দানে প্রতিদিন ভোরবেলা হাসির ব্যায়াম ও বিভিন্ন প্রাণায়ামে প্রচুর মহিলা পুরুষ নিয়মিত অংশগ্রহন করেন। কখনও কখনও একটা হাসি পুরোটা দিনকে উজ্জ্বল করে দিতে পারে। একটা হাসিমুখের জন্যই আমরা সব ধরণের চেষ্টা করি। যেমন সকাল সকাল উঠে পড়তে বসে যাওয়া, যেন মা-বাবা খুশি থাকেন। মা-বাবাও সারাদিন কত কষ্ট করেন যেন আমরা হাসিখুশি থাকতে পারি। হাসিমুখ দেখলে, সব কিছু ভালো লাগতে থাকে। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে দেখা গেছে হাসলে মানুষের শরীর রিলাক্সড হয়। তার ফলে টেনশন কমে যায়। প্রাণখোলা হাসি হাসতে পারলে টেনশন  রিলিজ হয়ে যাওয়ায় হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। উচ্চ রক্তচাপ, ব্লাড সুগার এবং  যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রাণখোলা হাসি দারুন দাওয়াই। হাসি স্ট্রেস  হরমোন কমিয়ে মানসিক চাপ কমাতে খুব সাহায্য করে। শরীরের ক্ষতিকর এন্টিবডি গুলিকে প্রতিরোধ করে। জীবনে হাসির প্রয়োজন অনস্বীকার্য। হাসি মন ভালো করে দেয়। টেনশন কমাতে তাই হাসি চাই। হাসি মানুষকে নীরোগ জীবন দান করে। চার থেকে পাঁচ রকম হাসির ব্যায়াম করা হয়। প্রথমে হাত দুটোকে বুকের সামনে ও পেছনে সঞ্চালন করে পাঁচবার হো হো হা হা করে হাসি। এরপর হাত  দুটো মাথার উপর তুলে হো হো করে হাসি। দ্বিতীয় হাসি খিল খিল করে অঙ্গভঙ্গি করে হাসি। তৃতীয় হাসি জিভ বের করে চোখ দুটো বড় করে হ্যা হ্যা করে হাসি। এতে থাইরয়েড গ্লান্ড এ চাপ পড়ে ও টন্সিল, থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রিত হয়। এরপরের হাসি মুখ ফুলিয়ে শব্দ না করে প্রচন্ড হাসি। তারপরের হাসি মুখ খুলে প্রচন্ড জোরে শব্দহীন হাসি।  প্রতিটি হাসির একটু প্রাণায়াম করে মনকে স্থির ও শরীরকে বিশ্রাম দিতে হয়। হাসির ব্যায়ামের সঙ্গে বিভিন্ন  ফ্রি হ্যান্ড এক্সেসাইজ করতে হয়। শরীর স্বাস্থ্যের উপকারের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই বাড়ছে হাসির ব্যায়ামের জনপ্রিয়তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here