ডেটলাইন নিউজ ডেস্কঃ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। সারা বিশ্বের সঙ্গে আমাদের দেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। যার মূল উদ্দেশ্য হল,রোগ প্রতিরোধে সঠিকভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো। ইউনিসেফের হিসাবে,ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। তাই নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস করালে তাদের একটি বড় অংশকে এসব রোগ থেকে বাঁচানো সম্ভব। চিকিৎসকরা বলেন, হাত ধোয়ার মতো সাধারণ অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে শিশুদের আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস, ডায়রিয়া, কৃমির মতো রোগের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। হাতের লোমকূপের গোড়ায় এক বর্গ-মিলিমিটার জায়গায় ৫০ হাজার জীবাণু থাকতে পারে। যা খালি চোখে দেখা যায় না। সারাদিনের নানা কাজে নানা বস্তু স্পর্শ করার মাধ্যমে এসব জীবাণু হাতে আসে। এই হাতে অন্যজনকে স্পর্শ করলে, তার কাছেও জীবাণু ছড়ায়।
আমরা অনেকেই অন্যমনস্ক ভাবে চোখ, নাক বা মুখে হাত দিয়ে থাকি। এইভাবে চোখ, নাক বা মুখের মাধ্যমে হাতে থাকা জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে। হাত না ধুয়ে খাবার তৈরি বা পরিবেশন করলে হাতে থাকা জীবাণু খুব সহজেই খাবারে প্রবেশ করতে পারে। এমনকি কিছু পরিবেশে অনেকক্ষণ থাকলে খাবারের সেই জীবাণু বংশবৃদ্ধি করে বেড়ে যেতে পারে বহুগুণে এবং সেই খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। হাত থেকে জীবাণু অন্যান্য জিনিসপত্রে যেতে পারে যেমন, সিঁড়ির রেলিং, টেবিল, খেলনা, যা থেকে অন্য মানুষের হাতে জীবাণু ছড়ায়। কিছুক্ষণ পর পর হাত ধোয়া ডায়রিয়া, শ্বাসনালীর সংক্রমণ, ত্বক ও চোখের সংক্রমণ থেকে আমাদের বাঁচায়। তাই বাচ্চাদের এবং বড়দের হাত ধোয়া শেখানোর মাধ্যমে আমরা আমাদের চারপাশের মানুষকে সুস্থ রাখতে পারি। নিয়মিত হাত ধোয়ার উপকারিতা অনেক। যেমন, ডায়রিয়ার সংক্রমণ কমায় ৩১ শতাংশ। পেটের অন্যান্য রোগ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে তা কমায় শতকরা ৫৮ ভাগ। শ্বাসনালীর সংক্রমণ, ঠাণ্ডা, ফ্লু ইত্যাদি কমায় ১৬ থেকে ২১ শতাংশ। শিশুদের হাত ধোয়ার অভ্যাস তাদের বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ১৫ অক্টোবর দিনটিকে ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস’ হিসেবে পৃথিবী বিভিন্ন দেশে পালন করা হয়।