ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ শীত মানেই আনন্দের মরশুম। দল বেঁধে বেড়াতে যাওয়া,বনভোজন,খেলা ও মেলা নিয়ে সকলেই মেতে ওঠেন। আনন্দের এই মরশুমে দুর্গাপুর ব্যারেজ প্রতি বছরই প্রচুর মানুষের অন্যতম গন্তব্য হয়ে ওঠে। এলাকার লোকজনদের পাশাপাশি দুর্গাপুরের বাইরে থেকেও অনেক পরিবার এখানে পিকনিক করতে আসে। অনেকে আবার এমনি বেড়াতেও আসে। কিন্তু,এই রবিবার ২৩ ডিসেম্বর দুর্গাপুর ব্যারেজে এক বিরল ঘটনার সাক্ষ্মী থাকলেন এখানে বেড়াতে আসা সাধারন মানুষ। এদিন এখানে আগুরী সম্প্রদায়ের ফেসবুক গ্রুপের সদস্যদের মহাসম্মেলন ছিল। কিন্তু এই সম্মেলন আর পাঁচটা সম্মেলনের থেকে একেবারেই আলাদা মাত্রার ছিল।
এই মহাসম্মেলনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১২০০ মানুষ সামিল হয়েছিলেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ছিল নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঙ্গে অবশ্যই খাওয়া দাওয়া। সব মিলিয়ে আগুরী সম্প্রদায়ের এই মহাসম্মেলন জমজমাট হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এই সম্মেলন শুধুমাত্র আনন্দ ও হুল্লোরের মধ্যেই সামীবদ্ধ রাখেননি কর্মকর্তারা। এখানেই তারা এক বিশেষ সামাজিক কর্মসূচীও রেখেছিলেন। সেটা হল মরণোত্তর চক্ষুদান। হ্যাঁ, এটাই ছিল এই মহাসম্মেলনের এক বিশেষ আকর্ষণ। ৮ থেকে ৮০ বিভিন্ন বয়সের মানুষ এই মরণোত্তর চক্ষুদানের শিবিরে চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। আগুরী পরিবারের অন্যতম সদস্য বাপি সামন্ত জানান,দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটির সহযোগিতায় এই শিবিরে মোট ৫৫ জন মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু পিকনিকের মেজাজে কেন এই উদ্যোগ? সদস্যরা জানান,সামাজিক কল্যাণের বিষয়টি যাতে আমাদের সকলের মনে থাকে,সেই চেতনা জাগিয়ে রাখার জন্যই এভাবে সম্মেলনের আনন্দের মধ্যেই এই কর্মসূচী রাখা হয়েছিল। এছাড়া এই দিন আগুরী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি ক্যালেন্ডারও প্রকাশ করা হয়। তারা জানিয়েছেন,তাদের পরবর্তী আগুরী সম্মেলন ২০১৯ সালে আসানসোলে অনুষ্ঠিত হবে।