পুজোর পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘মেলা’ও

0
966

ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ এখন যে কোন পুজোর পাশাপাশি যেভাবে একটা করে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে তাতে ‘পুজোর সঙ্গে মেলা ফ্রি’ বলা যেতেই পারে। এতে অবশ্য সাধারন মানুষের কোন আপত্তি নেই। উল্টে এই বাড়তি পাওনাটা তাদের ভালোই লাগে। কারন,মেলা মানেই মহামিলন। মানুষের উচ্ছ্বাস-উল্লাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটে মেলার মধ্য দিয়ে। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়ের উর্দ্ধে উঠে মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির এক বন্ধন গড়ে দেয় যেকোন মেলা। তাই বহু বছর ধরেই গ্রাম-বাংলার মেলা আজও সমানভাবেই জনপ্রিয়। কবে, কোথায়, কখন প্রথম মেলার প্রচলন হয়েছিল তা জানা না গেলেও এটি যে আবহমান বাংলার এক প্রাচীণ ঐতিহ্য সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। অনেকেই মনে করেন গ্রামীণ হাট থেকেই মেলা আয়োজনের শুরু হয়েছে। অতীতে রাজা-জমিদারেরা মেলার আয়োজন করতেন। ধর্মীয় কোনো উপলক্ষেও মেলা বসত। তাই বাংলার বারো মাসের তেরো পার্বণের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে মেলা। বৈশাখ থেকে চৈত্র নানা উৎসব উপলক্ষ্যেই বাংলায় দেখা যায় কোন না কোন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বহু জায়গায় পীর-ফকির বা সাধু-সন্যাসীদের আস্তানাগুলো কেন্দ্র করেও মেলা বসতে দেখা যায়। যেমন পানাগড়ের দানবাবার মেলা। বর্তমানে শুধু ধর্মীয় চেতনাই নয়,অন্যান্য সামাজিক বা লৌকিক আচারগুলোও যুক্ত হচ্ছে মেলার সঙ্গে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল শুধু দুর্গাপুজোই নয়,তার আগেও একাধিক পুজো ঘিরে এখন মেলার প্রচলন বেড়েছে। যেমন বিশ্বকর্মা পুজো ঘিরে অন্যান্য অনেক জায়গার পাশাপাশি দুর্গাপুরের ইস্পাতনগরীর এজোনে(ডিএসপি মেন্টেনেন্স) প্রতিবারের মতো এবারও শুরু হয়েছে মেলা। তার আগে শহরে শুরু হওয়া গণেশ পুজো উপলক্ষ্যেও মেলাও চলছে। এগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল দুর্গাপুর স্টেশন বাজার এলাকার আলাপ ক্লাবের গণেশ পুজো উপলক্ষ্যে ১০ দিনের মেলা। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এই মেলা পঞ্চম দিনে পড়েছে। রবিবারের পর বিশ্বকর্মা পুজোর দিনও মেলায় দর্শক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতোই। মেলায় বিভিন্ন স্টলে সাজানো রয়েছে নানা ধরনের পসরা। রয়েছে বিনোদনের নানা উপকরনও। মেলা উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক যে কর্মসূচী চলছে তাতে আজ ছিল সুস্মিতা দাসের পরিচালনায় “কবিতায় ও ছন্দে নান্দনিক বচন” শীর্ষক অনুষ্ঠান। সহযোগিতায় ছিল পরমা ব্যানার্জীর পরিচালনায় কলাক্ষেত্রম ড্যান্স গ্রুপের শিল্পীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here