ডেটলাইন দিল্লিঃ ২০১৬ সালে নোবেল জয়ী কৈলাশ সতীর্থ ‘বচপন বাঁচাও’ আন্দোলনকে সামনে রেখে শীর্ষ আদালতে এক আবেদনে জানিয়েছিলেন, যে হারে দেশের পড়ুয়াদের মধ্যে মাদক নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে, পরবর্তীকালে তা ভয়াবহ রূপ নেবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সমাজ থেকে মাদকদ্রব্যের প্রভাব কমাতে, বিশেষ করে স্কুল–পড়ুযাদের মধ্যে এই প্রবণতা যাতে কমে, তার জন্য সুপ্রিম কোর্ট অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস)–কে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব এ বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এইমস রিপোর্ট তৈরি করে তা উচ্চ–ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির কাছে জমা দেবে।
এপ্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি এ এম খানউইলকার এবং ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘মাদক দেশের যুব সমাজের ওপর ভয়ঙ্করভাবে প্রভাব ফেলেছে, তাই এ বিষয়ে কোনও ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করবে না শীর্ষ আদালত।’ দেশের কোন রাজ্যে মাদকের প্রভাব বেশি, সেটা জানার জন্য জাতীয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো দায়িত্ব দিয়েছে এইমস। এ ব্যাপারেও এইমস কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।