ডেটলাইন দুর্গাপুর,৯ আগস্টঃ প্রতি বছর বাংলা শ্রাবণ মাস মানেই একদিকে কবিগুরুর ২২ শ্রাবণ প্রয়াণ দিবস। আর সেই সঙ্গেই শ্রাবণ পূর্ণিমা মাসের পূর্ণিমায় হিন্দু ঐতিহ্য অনুসারে পালিত হয় রাখী উৎসব। তবে বর্তমানে এই উৎসব একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উৎসব হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি শুধু ভাই-বোনের সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সামাজিক বন্ধন এবং ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ঐতিহ্যগতভাবে, এই দিনে বোনেরা তাদের ভাইদের হাতে রাখি বাঁধে, যা তাদের সুরক্ষা এবং মঙ্গলের জন্য একটি প্রতীকী বন্ধন। অন্যদিকে, ভাইরা তাদের বোনদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদের সুস্থ জীবনের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ জানায়। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, রাখি বন্ধন একটি বৃহত্তর সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রসারিত হয়েছে। এটি এখন বন্ধু, আত্মীয়, এবং এমনকি কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের মধ্যেও পালিত হয়, যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, স্নেহ এবং সামাজিক সংহতির একটি উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়। ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রোধ করার জন্য এই উৎসবকে ব্যবহার করেছিলেন, যেখানে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরের হাতে রাখি বেঁধেছিলেন, যা একতা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক ছিল। তাই, রাখী বন্ধন শুধুমাত্র একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসবও, যা পারস্পরিক বন্ধন এবং ভালোবাসাকে আরও সুদৃঢ় করে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দুর্গাপুরেও বিভিন্ন এলাকায় দিনটি পালিত হল। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন দুর্গাপুরের কোক ওভেন থানার পক্ষ থেকেও পালন করা হল বাংলার অন্যতম এক সম্প্রীতির এই রাখী উৎসব। কোক ওভেন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মহম্মদ মইনুল হক কে থানার মহিলা পুলিশকর্মীরা রাখী পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান। অন্য পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও হাতে রাখী পরানো হয়। পাশাপাশি থানার সামনে পথ চলতি বিভিন্ন মানুষের হাতেও রাখী পরিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে মিষ্টিমুখও করানো হয়। রাখী বন্ধন উৎসব উপলক্ষ্যে সকলকে শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন কোক ওভেন থানার আধিকারিক মইনুল হক।