কোদাল,বেলচা নিয়ে রাস্তায় কেন পুলিশ! দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের ভূমিকার প্রশংসায় পথচারীরা

0
157

ডেটলাইন দুর্গাপুর,১৫ জুনঃ ওরা এমনিতেই পথে নেমে কাজ করে। কারন,শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে যানবাহন নিয়ন্ত্রন করাই তো তাদের কাজ। এরা হলেন দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক। রবিবার সকালেও তাদের দেখা গেল রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। তবে,যানবাহন নিয়ন্ত্রন নয়,তাদের দেখা গেল কোদাল,বেলচা,ঝাঁটা হাতে নিয়ে রাস্তা সাফাইয়ের কাজ করতে। পথ চলতি লোকজন দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের কর্মী ও আধিকারিকদের হঠাৎ এই ভূমিকায় দেখে থমকে দাঁড়িয়ে যান। আসলে, ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা রাস্তায় যে কারনে দুর্ঘটনা ঘটছে সেই সমস্যাটা দূর করতেই কোদাল বেলচা নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন।

দুর্গাপুরের একটি নামী ইংরাজী মাধ্যম স্কুল হল হেমশীলা মডেল স্কুল। সেখানেই রয়েছে সাধু রামচাঁদ মুর্মু সরণী। এই রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরেই ঘটে চলেছে ছোটখাটো পথ দুর্ঘটনা। কারণ,এই রাস্তায় জমে থাকে মোড়াম, মাটির স্তর। ছেলেমেয়েদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসার পথে এখানে সেই মোরাম ও মাটি পড়ে থাকার কারনে স্কুটি ও বাইক প্রায় স্কিট করে দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকেই। এছাড়াও রাস্তার দুপাশ আগাছায় ভরে গেছে। বিষয়টি দুর্গাপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার বলার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় শেষ রবিবার সকালে নিজেরাই সেই রাস্তা সাফাই করতে কোদাল বেলচা, ঝাঁটা নিয়ে কাজে লেগে পড়েন দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ। সিভিক কর্মীদের সাথে নিয়ে এই হাত লাগান ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরাও।

যা দুর্গাপুরের বুকে এক বিরল দৃশ্য হয়ে রইল। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (৩) সঞ্জীব তিওয়ারী,দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সন্দীপ সোম, ট্রাফিক আধিকারিক আলী রেজাক, তাপস গুই সহ ট্রাফিকের আধিকারিকরাদের বেলচা এবং ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করতে দেখে বাস্তবিকই অবাক হয়েছেন ওই রাস্তায় নিত্য যাতায়াতকারীরা। পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি হয়েছেন তারা। দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা জানান,আমরাও এই সমাজেরই অঙ্গ। প্রতিনিয়ত ওই রাস্তায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। রাস্তার উপর মোরাম ও মাটি উঠে আসায় দুচাকার গাড়ি প্রায় স্কিট করে পড়ে যেতে দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নি যে, নিজেরাই রাস্তাটিকে চলাচলের উপযুক্ত করে তুলবে। সেই ভাবনা থেকেই তাদের এই উদ্যোগ। আধিকারিকরা আরও জানান,আগামী দিনেও তারা সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচীতে এভাবেই এগিয়ে আসতে চান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here