ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ গ্রীষ্মকাল মানে শুধু পানীয় জলেরই সংকট নয়,একই সঙ্গে দেখা যায় রক্তেরও সংকট। এই দুটির সঙ্গেই মানুষের জীবন যেমন জড়িয়ে রয়েছে তেমনই এই দুই ক্ষেত্রেই সামাজিক ভূমিকা দেখা যায় পুলিশকর্মীদেরও। কারন কোথাও পানীয় জল নিয়ে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সেখানে পুলিশকেই অবস্থা নিয়ন্ত্রনে ছুটে যেতে হয়। আবার দেখা যায় প্রতি বছর গ্রীষ্মকাল এলেই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের যোগান অনেক কমে যায়। ফলে রোগীদের প্রয়োজনীয় রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় হাসপাতালগুলিকে। এই সমস্যা দূর করার লক্ষ্যেও এগিয়ে আসতে হয় সেই পুলিশকর্মীদেরই। গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকট মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকর্মীদের এগিয়ে আসার আবেদন করেছিলেন। সেই লক্ষ্যে ‘উৎসর্গ’ নামে এক কর্মসূচীর সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও বিভিন্ন থানায় পুলিশের উদ্যোগে স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের আয়োজন চলছে। মঙ্গলবার সেই উদ্যোগ দেখা গেল অন্ডাল ও লাউদোহা থানার পুলিশের। অন্ডাল থানার পক্ষ থেকে এদিন স্থানীয় একটি বেসরকারি ভবনে আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরে মোট ৫০ জন রক্তদান করেন। অন্ডাল থানার আধিকারিক শান্তনু অধিকারী সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরাও এই শিবিরে রক্তদান করেন। সংগৃহীত রক্ত দেওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্ককে। অন্ডাল থানার আধিকারিক ছাড়াও এখানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ওমর আলী মোল্লা,ডিসি অভিষেক গুপ্তা,সার্কেল ইন্সপেক্টর পিন্টু সাহা সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। এছাড়াও শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। রক্তদাতাদের পুলিশের পক্ষ থেকে শংসাপত্র সহ একটি করে গাছের চারাও উপহার হিসেব দেওয়া হয়। একই দিনে লাউদোহা থানার উদ্যোগেও রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে মোট ২৫ জন রক্তদান করেন। এখানকার সংগৃহীত রক্ত সংগ্রহ করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংক। রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি এদিন লাউদোহা থানায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়ন্তীও পালন করা হয়।