ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ গণেশ চতুর্থী তথা গণপতি উৎসব মানেই মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্যপূর্ণ এক উৎসব। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য মেনে মুম্বইয়ের পথ-ঘাট কেঁপে ওঠে ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’ ধ্বনিতে। কিন্তু দিনবদলের হাত ধরে সেই গণেশ এখন মুম্বইয়ের সঙ্গে পুজিত হচ্ছেন এই বঙ্গ রাজ্যেও। এখানেও অনেকে বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন গণেশ চতুর্থীর জন্য। বেশ কয়েক বছর ধরে এই রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে গণেশের আরাধনা। সাধারণত বছরের এইসময় বিশ্বকর্মার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত থাকতেন মৃৎশিল্পীরা। এখন সেই জায়গা নিয়েছেদেবী দুর্গার ছোট ছেলে সিদ্ধিদাতা গণেশ। দিন দিন বাড়ছে তাঁর প্রতিপত্তি। এক হিসেবে জানা গেছে,
২০১৯-এ গণেশ প্রতিমা তৈরির সংখ্যা গতবারের ৫-৬ হাজার ছাড়িয়ে ৮ থেকে ৯ হাজারে পৌঁছেছে। শুধু অবাঙালিরা নন, বাঙালিরাও গণেশ পুজোয় মেতে উঠেছে। শিল্প শহর দুর্গাপুরেও গণেশ বন্দনা বেড়েছে। এই শহরেও একাধিক জায়গায় গণেশ চতুর্থীর আয়োজন করা হয়। যেমন দুর্গাপুর স্টেশন এলাকার আলাপ ক্লাব বিগত ১৮ বছর ধরে গণপতি উৎসবের আয়োজন করে আসছে । এ বছর এই উৎসব ১৯ বছরে পড়ল।
এদিন সন্ধ্যায় গণপতি উৎসবের শুভ সূচনা করেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এস.এস.আলুআলিয়া, উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশিষ্ট শিক্ষক ও লেখক ডঃ ত্রিপুরা বসু, কবি সাহিত্যিক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ।
উদ্যোক্তাদের পক্ষে শুভজিৎ নিয়োগী জানান, নানাসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই গণপতি উৎসবকেএলাকার মানুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার আয়োজন করা হয়েছে।