হোয়াটসঅ্যাপে মোমো-আতঙ্ক দুর্গাপুর ও বাঁকুড়ায়

0
1204

ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ ব্লু হুইলের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ফের এক মারণগেম ‘মোমো’ এসে হাজির হয়েছে। এরমধ্যেই একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। ফলে দেশের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে এরাজ্যে বাড়ছে আতঙ্ক ও উদ্বেগ। এই ভয়াবহ ফাঁদ থেকে নয়া প্রজন্মকে বাঁচাতে তৎপর এবার হয়েছে পুলিশ–প্রশাসন। সিআইডির পক্ষ থেকে তাদের নিজস্ব টুইটারে এ বিষয়ে সচেতনামূলক প্রচার করা শুরু হয়েছে। ‘মোমো’র শিকার এ রাজ্যে উত্তরবঙ্গ থেকেই সবচেয়ে বেশি হয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিয়াগঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর, ফালাকাটা সহ উত্তর ২৪ পরগণার সোদপুরেও এই মারণখেলার আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল।৬ জেলায় এই ‘মোমো’ খেলার আতঙ্ক নিয়ে বেশ উদ্বেগে রয়েছে সিআইডি। ‘ব্লু হুইল’–এর আদলে তৈরি এই খেলাটি আত্মহত্যা করাতে বাধ্য করায়। সিআইডি তাই উত্তরবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে এই খেলার বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। পাশাপাশি, অভিভাবকদেরও তাঁদের সন্তানদের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। কারোর হোয়াটস অ্যাপে যদি এই খেলার অনুরোধ আসে তবে যেন তা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় বা সিআইডিকে জানায়। সেরকমই বলা হয়েছে সিআইডির এই প্রচারে। ইতিমধ্যেই সিআইডির সাইবার সেল এই খেলার তদন্তে নেমেছে।
এর মধ্যেই মোমোর আতঙ্ক ছড়ালো দক্ষিণবঙ্গেও। গত ২৪ আগস্ট হঠাৎ মোবাইল বন্ধ হয়ে যায় লাউদোহার বাঁশগড়ার বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র শেখর সিংহের। দুদিন মোবাইল চার্জ করেও চার্জ হয়নি কিন্তু ২৬ তারিখ হঠাৎ তার মোবাইল অন হয় এবং নেট অন করতেই ভেসে আসে একটি মেসেজ । মেসেজ আসে একটা অদ্ভুত নম্বর থেকে তাতে শেখরকে তিনটে কাজ করতে বলা হয়। প্রথম কাজ হল একটা ভূতের সিনেমা দেখতে হবে। দ্বিতীয় কাজ হল হাত কেটে রক্ত দিয়ে লিখে পাঠাতে হবে মোমো এবং তৃতীয় কাজটি হল তাকে আত্মহত্যা করতে হবে ।ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পরে শেখর এবং তার পরিবারও। শেখর জানায় এই তিনটি স্টেজ কমপ্লিট না করলে বাড়ির লোকেদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় ওই মেসেজ থেকে এবং এই নাম্বার কোন ভাবে ব্লক করলে তার পরিবারের ক্ষতি করবে বলে জানায় মম থেকে আসা মেসেজ । লাউদোহা ফরিদপুর থানায় অভিযোগ জানায় শেখরের বাবা । ঘটনায় এলাকার অন্যদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে এই মারন গেমের থাবা বাঁকুড়াতেও। গতকাল বিকেলে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার গোবিন্দধাম গ্রামের পেশায় ব্যবসায়ী চিন্ময় সিংহ হোয়াটস আপ থেকে একটি মেসেজ পান। সেই মেসেজে চিন্ময়কে মোমো গেম খেলার আহ্বান জানানো হয়। চাওয়া হয় চিন্ময় বাবুর ছবি ও ঠিকানার প্রমান পত্র হিসাবে আধার কার্ডের ছবিও চাওয়া হয়। নিজের ছবি দিলেও আধার কার্ডের ছবি দেননি চিন্ময় বাবু। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে আজ তিনি গঙ্গাজলঘাটি থানায় অভিযোগ জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here