গরমকাল পড়লেই সবাই একটু ঠান্ডা জায়গার খোঁজ করে। সেকারনেই প্রতি বছর গরমকালে পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে যান অনেকেই। আর এরকমই এক জায়গা হল ভুটান। হিমালয়ের কোলে এই ছোট্ট শহরটির পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে বুদ্ধদেবের স্মৃতি। ইতিহাসের পাতায় ভুটান ড্র্যাগনের দেশ হিসাবে পরিচিত। এই দেশের সম্পদ আগলে রাখে ‘থান্ডার ড্রাগন’। ভুটান যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে উত্তরবঙ্গের ফুন্টশেলিং। তারপর রাজধানী থিম্পু। পাহাড়ের আঁকা বাঁকা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় চোখ জুড়িয়ে যাবে সবুজের সমারোহ দেখে। ফুন্টশেলিং থেকে থিম্পু যেতে সময় লাগবে ৬ ঘন্টা। মতিথাং তাকিং প্রিসার্ভ যেতে চাইলে যান সকাল বেলায়। এখানে এলেই আপনার সঙ্গে পরিচয় হয়ে যাবে ভুটানের জাতীয় প্রাণী তাকিংদের। ভুটানের বৈশিষ্ট্য হল ১৬৯ মিটার লম্বা একটি বুদ্ধ মূর্তি। যা শহরের যেকোনও প্রান্ত থেকেই দেখা যায়। মূর্তির নিচে রয়েছে একটি আশ্রম এবং তাকে ঘিরে আরও অনেক ছোটোখাটো বুদ্ধ মূর্তি। থিম্পুর দর্শণীয় স্থান গুলির মধ্যে মেমোরিয়াল চার্টন হল একটি। ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দরজি ওয়াংচুক বুদ্ধের চিন্তাভাবনা গুলিকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য একটি বৌদ্ধস্তূপ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু বেঁচে থাকাকালীন তিনি তা করে যেতে পারেননি বলে তাঁর স্মৃতির উদ্দ্যেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল এই মেমোরিয়াল স্তূপটি । আরেকটি দেখার মত জায়গা হল পুনাখা। থিম্পু থেকে পুনাখা যাওয়ার পথে পাবেন ডচু-লা-পাস,ভুটানের অন্যতম প্রাচীন মনাস্ট্রি চিমি লাখাং। সন্তানের মঙ্গল প্রার্থনা করে পরিবারের লোকজন এখানে আসেন। আরও কিছু দর্শণীয় স্থান আছে ভুটানে। এখানে এলে গরমকালটা কিভাবে কেটে যাবে তা বুঝতেই পারবেন না আপনি। তাহলে এবার প্রস্তুতি নিতে পারেন।